রবীন্দ্র-আলোকে ললিত ভারতী—সমীপেষু দাস

Image
  রবীন্দ্র-আলোকে ললিত ভারতী কাব্যসরস্বতী কোনো মন্দিরের বন্দিনী দেবতা নন                                                                                                       ( মধুমঞ্জরি, বনবাণী )                        রবীন্দ্রনাথ কাব্য ও সংগীতকে কখনওই পৃথক ব’লে ভাবতেন না। প্রথম জীবনের তাঁর কাব্যগুলির নামকরণ-ই তার যথাযথ প্রমাণ – সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও গান, কড়ি ও কোমল  ইত্যাদি। এমনকি যে কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান; তা-ও গীতাঞ্জলি। তাঁর রচিত অসংখ্য কবিতা-ই গানের রূপ পেয়েছে। ব্যক্তিজীবনে তিনি তাঁর কাব্যরচনার প্রেয়সীরূপে পেয়েছিলেন তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ তথা কাদম্বরী দেবী-কে। তিনি যখন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আসেন; তখন বয়সে তিনি বালিকা। তাই সেই ছবিই পরবর্তীত...

মাতৃরূপেণ—১০, মেনকার প্রতি গিরি—শুভদীপ সাহা

  মেনকার প্রতি গিরি

পর্ব: আগমনী

সজ্জা: লঘু ত্রিপদী

—শুভদীপ সাহা

শ্রীপাট বরানগর। কলকাতা।  


গিরি কি হুতাশে মেনকার পাশে

বসিয়া কহিল আজি। 

ওহে গিরিরাণী শুন মোর বাণী

কিবা যে ঘটিল বাজি।।

প্রভাতে উঠিয়া পূজাগৃহে গিয়া

ধেয়ানে ধরিনু চিত।

উষার কিরণে অমল গগনে

শুনিনু বীণার গীত।।

দ্বিপ্রহর বেলা ঘটে সেই খেলা

হেরি যে রমার কায়া।

মাতামহ বলে ধেয়ে আসে কোলে

নাহি বুঝি কার মায়া।।

সায়াহ্নের কালে দিকচক্রবালে

পাটেতে বসিল ভানু।

কি ঘটিল রাণী শুনল বাখানি

শুনিলে হইবে স্থাণু।।


বেদাগম মতে যাহা বিধি রটে

সেমত ধ্যানেতে বসিয়া।

হেরিনু হৃদয়ে পিতা পিতা কয়ে

উমা বিদারিল হিয়া।।

ছিল সাধ মনে হেম-রথাসনে

উমার মুরতি হেরি।

উমা লয়ে হরে নাচে বৃষ’পরে

নাচে গণে দুহুঁ ঘেরি।।

গায়ত্রী ব্যাহৃতি যত মোর স্থিতি

সকলি ছুটিল সঙ্গে।

হরের ঘরণী হেমের বরণী

ছাই মাখে হেম-অঙ্গে।।

কার কাছে কব হেন অনুভব

পরাণে পাষাণ হানা।

নয়নের জল নারীরই কেবল

পুরুষে প্রকাশে মানা।।

ভনে কালীদাসে গিরির সকাশে

শুন ওহে গিরিরাজা। 

আপনি আপনে আঁখি বরিষণে

কেন গো দিতেছ সাজা।।

রাণীরে লইয়া হের গো আসিয়া

আগমনী ঋতু সাজে।

কাশের দোলনি অমিয়া ভোলনি

সেই রূপে উমা রাজে।।


[গিরিরাজ ও মেনকার চিত্র—ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।] 

Comments

Popular posts from this blog

মাতৃরূপেণ—১২, 'অন্নপূর্ণে সদাপূর্ণে....'—শ্রীজীবশরণ দাস

কালীকথা-৩—পরমব্রহ্ম শবরূপ তাই — ড. অর্ঘ্য দীপ্ত কর

মাতৃরূপেণ—৫, বঙ্গ-মননে পরিবার-সমন্বিতা দুর্গা দর্শন—রাধাবিনোদ ঠাকুর