রবীন্দ্র-আলোকে ললিত ভারতী—সমীপেষু দাস

Image
  রবীন্দ্র-আলোকে ললিত ভারতী কাব্যসরস্বতী কোনো মন্দিরের বন্দিনী দেবতা নন                                                                                                       ( মধুমঞ্জরি, বনবাণী )                        রবীন্দ্রনাথ কাব্য ও সংগীতকে কখনওই পৃথক ব’লে ভাবতেন না। প্রথম জীবনের তাঁর কাব্যগুলির নামকরণ-ই তার যথাযথ প্রমাণ – সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও গান, কড়ি ও কোমল  ইত্যাদি। এমনকি যে কাব্যের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান; তা-ও গীতাঞ্জলি। তাঁর রচিত অসংখ্য কবিতা-ই গানের রূপ পেয়েছে। ব্যক্তিজীবনে তিনি তাঁর কাব্যরচনার প্রেয়সীরূপে পেয়েছিলেন তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ তথা কাদম্বরী দেবী-কে। তিনি যখন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আসেন; তখন বয়সে তিনি বালিকা। তাই সেই ছবিই পরবর্তীত...

মাতৃরূপেণ—১৩, আগমনী—বিবেক ঘোষাল

  আগমনী


—বিবেক ঘোষাল

সিউড়ী। বীরভূম। 


সুনীলে শারদলিপি ললিতে মধুর—

ধ্রুবপদে নিনাদিত আগমনী সুর।

প্রতিধ্বনি শুনি যাঁর শুভা আলিম্পনে, 

ত্রিলোক বোধিতা যিনি মাতৃ উচ্চারণে—

সেই উমা, আনন্দিনী মহা সম্মিলনে,

জগজন রচে অর্ঘ্য সুমঙ্গলা ক্ষণে।

শিবলোক পরিহরি মর্ত্যে আগমন,

জননীর অঙ্গরাগে দুহিতা বরণ।

গিরিগৃহে চারটি দিবা ক্ষণিকের বিন্দু, 

আগমনে বিসর্জিতা বিষাদের সিন্ধু।

তবু উমা কাছে পেয়ে আনন্দ উথলে—

পুনঃপুন চুম্ব দেয় বদনকমলে।



গৌরী পেয়ে মেনকার ফুল্ল স্নেহধার,

জগৎপ্রসবা যিনি অনন্ত অপার—

দেখো তাঁর মুখ চুম্বে ভাগ্যবতী মাতা

বলিহারি মেনকার বরাত বিধাতা! 

দোঁহে দোঁহা একাকার অমিয়া দরশে,

যেন কোন নীহারিকা সরসী পরশে।

হৃদিলোকে ধূম লাগে,সঁপি চিত্ত কায়,

সৃষ্টি মেতেছে দেখো স্রষ্টা বন্দনায়।

এসো মাগো হররাণি, হৃদিপদ্মাসনে—

চেতনাপ্রদীপ জ্বালো বিবেক-দহনে।।


(মেনকা ও দুর্গার চিত্র অঙ্কনে— শুভদীপ সিনহা। নদীয়া।) 


Comments

Popular posts from this blog

মাতৃরূপেণ—১২, 'অন্নপূর্ণে সদাপূর্ণে....'—শ্রীজীবশরণ দাস

কালীকথা-৩—পরমব্রহ্ম শবরূপ তাই — ড. অর্ঘ্য দীপ্ত কর

মাতৃরূপেণ—৫, বঙ্গ-মননে পরিবার-সমন্বিতা দুর্গা দর্শন—রাধাবিনোদ ঠাকুর