মাতৃরূপেণ—১৬, মা আসছেন—পণ্ডিতপ্রবর গোরাচাঁদ ভট্টাচার্য
- Get link
- X
- Other Apps
মা আসছেন
শ্রীধাম নবদ্বীপ। নদীয়া।
ভারতবর্ষের শক্তি আরাধনা বহু প্রাচীন। আচার্য শংকর যে কয়খানি উপনিষদের টীকা লিখেছিলেন, তার মধ্যে 'কেনোপনিষদ' অন্যতম। 'কেন' অর্থাৎ কাহার দ্বারা? এই প্রশ্নে গুরু-শিষ্য সংবাদে উক্ত উপনিষদের অবতারণা। সেখানে মহাশক্তিকে আমরা হৈমবতী রূপে পাই। এবার ভাবুন—ভারতবর্ষের শক্তি ভাবনা কত প্রাচীন! আজকের টুকরো ভারত নয়,ভাবুন বৃহত্তর ভারতবর্ষকে। সেখানে দেখবেন কত শক্তিপীঠ! শুধু প্রধান একান্ন পীঠই নয়, কত যে উপপীঠ আছেন বৃহত্তর ভারতে, তা বিস্ময়জনক। কারণ ভারতবর্ষ উপলব্ধি করেছিল একদিন মহাশক্তিরূপা বিশ্বপ্রকৃতিকে, অনুভব করেছিল সেই মহাশক্তির অদম্য শক্তিকে, শরণাগত হয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল সন্তানবৎ সেই শক্তির শ্রীচরণে।
সেই ভারত শাক্ত-ভারত। মা-মা বলে কাঁদতে সে অভ্যস্ত। জগজ্জননী সেই সন্তানকে তাঁর কোলে আশ্রয় অবশ্যই দেবেন—এ বিশ্বাস ভারতবর্ষ মনেপ্রাণে রাখে। মাতৃভাবনায় ভারতবর্ষ তাই সিদ্ধ বহুকাল আগেই। তার কণ্ঠে নিত্য ধ্বনিত হয় 'মার্কণ্ডেয় চণ্ডী'-র সেই অসাধারণ শ্লোক—
"যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমায়েতি শব্দিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।"
(চিত্র অঙ্কনে—শ্রী শুভদীপ সিনহা। নদীয়া।)
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Choto holeo... Amullo
ReplyDelete